পারিবারিক থেকে বারোয়ারি নাকি সার্বজনীন? জেনে নিন দুর্গাপূজা শুরু হওয়ার সঠিক তথ্য।

Moumita Jana Avatar

হাতেগোনা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। বাঙালি মাতবে মহা উৎসব দুর্গাপূজায়। তবে অনেকেই জানে না পুজো শুরু হওয়ার সঠিক তথ্য।

বাঙালির গর্ব, ঐতিহ্য, প্রাণের উৎসব হল দুর্গাপূজা। বছরে টানা চারটা দিন এই পুজো হলেও এর ধৈর্যড় শুরু হয় প্রায় এক দু মাস আগে থেকে দেবী আরাধনা নয় এ এক মহামিলন উৎসব। তবে এক কালে এই পুজো ছিল পারিবারিক সেই থেকে হয়ে উঠেছে সার্বজনীন শুধু তাই নয় অনেকে এই পুজোকে বারোয়ারি পুজো বলেন। নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে এই পুজোর সূচনা কবে?কিভাবে এই পুজো পারিবারিক থেকে হয়ে উঠলো সার্বজনীন কেনই বা একে বারোয়ারি পুজো বলা হয়? সবটা জানতে পড়ে দেখুন এই তথ্য।

দুর্গাপূজা সূচনা সময়কাল

  দুর্গাপূজার সূচনা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। লিখিত ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৬০১ সাল নাগাদ নদীয়ায় মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রে পূর্বপুরুষ ভবানন্দ প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেন। পরে কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে এই পুজো অনেক বড় হতে থাকে।

     ইতিহাসের পাতায় লেখা না থাকলেও অনেকে বলে থাকেন ১৫০০ শতকের প্রথমদিকে মালদহ দিনাজপুরের মহারাজা দেবীর স্বপ্নাদেশে প্রথম পুজো চালু করেন। তবে এই দেবীর রূপ ছিল অন্যরকম। দেবীর চোখ গোলাকার বাহন সাদা বাঘ সবুজ সিংহ। 

    এছাড়াও মনে করা হয় কলকাতায় প্রথম ১৬১০ সালে বারিশার  সাবর্ণরায়চৌধুরী পরিবার প্রথম দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন। এরপর পলাশী যুদ্ধের পর ১৭৫৭ সালে কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে রাজা নবকৃষ্ণদেব বিপুল খরচ করে দুর্গাপূজার আয়োজন করতেন।

পারিবারিক থেকে সার্বজনীন হয়ে ওঠার গল্প

শুরুর দিকে দুর্গা পূজার ছিল পারিবারিক আচার অনুষ্ঠান। চিরস্থায়ী বিশাল বন্দোবস্তের কারণে প্রধানত সমাজের বিত্তশালী, জমিদাররা এই পুজো করতো। বাংলা প্রথম দুর্গাপূজা গুপ্তিপাড়ায় শুরু হলেও বারোয়ারি পূজো অনেক পরে শুরু হয়। তবে ধীরে ধীরে বারবারই দুর্গাপূজার রমরমা শুরু হয় গোটা কলকাতা জুড়ে। এইভাবে একটু একটু করে দুর্গাপূজা হয়ে ওঠে পারিবারিক থেকে সার্বজনীন

দুর্গাপূজাকে বারোয়ারি পূজা বলার কারণ

জেনেছি দুর্গা পূজা সাধারণত করত জমিদার বাবুরা। কিন্তু মানুষের সময় তো সব সময় সমান যায় না। হঠাৎই হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া অঞ্চলের এমনই এক জমিদার বাবুল আর্থিক অবস্থা খুব বেহাল হয়ে পড়ে। ফলে প্রায় পূজো বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। পুজো বন্ধ হওয়া থেকে আটকাতে তখন ওই পাড়ার ১২ জন ছেলে চাঁদা তুলে এই পুজোর আয়োজন করে। এই ১২ জন বন্ধুর মিলিত চেষ্টায় সম্পন্ন হয় পূজো। সেই থেকে এই পুজোতে বারোয়ারি পূজো বলা হয়।

Search