বর্তমান যুগে দাড়িয়ে চারদিকে এত লৌকিক অলৌকিকতার ভিড়ে মানুষ যখন তাদের আশ্বাস হারিয়ে ফেলে, সেই সময় যদি তারা কোন দৈবিক শক্তির প্রমাণ পায় সেটা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। তেমনই এক জাগ্রত মায়ের মন্দিরের সন্ধান দেবো এই প্রতিবেদনে।
প্রাচীন কাল থেকে শুরু করে আজও ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য মন্দিরে বহু ভক্তের ভিড় লেগেই থাকে। বাংলার মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু জাগ্রত মন্দির। তারই মধ্যে একটি খুব জাগ্রত কালী মায়ের মন্দির রয়েছে মেদিনীপুরে দীঘা পার্শ্ববর্তী পিছাবনী অঞ্চলে। এই মায়ের অশেষ মহিমার কথা প্রায় সকলেই জানে।বহু মানুষ তাদের মনস্কামনা পূর্ণের আশায় এই মন্দিরের ছুটে যান এবং খুব শীঘ্রই উপকৃত হন বলে জানা যায়। কার্তিক অমাবস্যার অর্থাৎ কালীপুজোর এই বিশেষ দিনে মা এর রূপ যেন গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো। সামনেই কালীপুজো তাই একবার হলেও দর্শন করুন এই মায়ের মন্দির।।
পিছাবনির এই মন্দিরটি বহু পুরনো। আগে এই মন্দিরে মায়ের মূর্তি ছিল মাটির,এই জাগ্রত মায়ের মহিমায় ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ায় খুশি হয়ে ভক্তরা অষ্টধাতুর মূর্তি বানিয়েছেন। সারা বছর ধরে নিত্য পূজায় এই মন্দিরে ভিড় জমে বহু মানুষের। এবং ভক্তরা মনস্কামনা পূণ্যের আশায় মন্দিরে ঢিল বেধে যান। এবং সাধ্যমত দক্ষিণা দেন। এবং কার্তিকী অমাবস্যায় মায়ের বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। এবং এই পূজার সবথেকে আকর্ষণীয় ব্যাপার মায়ের কাছে ধুনুচি দেওয়া। প্রতিবছর প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ মায়ের কাছে ধরেছে দেয়। সারিবদ্ধভাবে এই দৃশ্য দেখতে আসেন। এবং কালীপুজো উপলক্ষে প্রায় ১০ দিন ধরে এখানে মেলা চলে।
এই মন্দিরে যেভাবে পৌঁছাবেন
প্রথমে সড়ক পথে কলকাতা থেকে দীঘা আসতে হবে। দিঘা থেকে বাসে উঠে নামতে হবে পিছাবনী বাসস্ট্যান্ড এ। সেখান থেকে সামান্য দূরে রয়েছে পিছাবনী হাই স্কুল। তার সামনেই রয়েছে এই জাগ্রত কালী মায়ের মন্দির। এবং সেখানে রয়েছে একটি বিরাট পুকুর। যেখানে ভক্তরা স্নান করে মায়ের কাছে পুজো দেন।