মিষ্টি মানে বাঙালির জিভে আনে জল। জেনেনিন বিখ্যাত কয়েকটি মিষ্টি কোন কোন জেলায় বিখ্যাত

Moumita Jana Avatar

বাঙালির ভুরিভোজ মানে শেষপাতে থাকতেই হবে মিষ্টি এ এক চিরকালীন ঐতিহ্য। তবে এক এক জেলায় এক এক মিষ্টি বিখ্যাত। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন মিষ্টি কোন এলাকার মানুষের মন জয় করেছে।

কলকাতার রসগোল্লা

মিষ্টির কথা শুনলেই প্রথমে মাথায় আসে মিষ্টির রাজা রসগোল্লার কথা। নদীয়া জেলার ফুলিয়ার হারাধন ময়রা রসগোল্লার তৈরীর আদি সৃষ্টিকর্তা হলেও কলকাতা বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাস প্রথম ১৮৮৬ সালে নরম তুলতুলে স্পঞ্জ রসগোল্লা তৈরি করেন। যা বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় হয়ে ওঠে।

বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা

বর্ধমানের কথা বললেই এই দুই মিষ্টির কথা মাথায় আসে সীতাভোগ এবং মিহিদানা। সাদা, বাসমতি চালের ভাতের মতো দেখতে সীতাভোগ এবং হলুদ রঙে মাখা গুঁড়ো মিহিদানা অপূর্ব স্বাদযুক্ত মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়।

কৃষ্ণনগরের সরভাজা এবং সরপুরিয়া

১৯০২ সালে প্রথম তৈরি কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মিষ্টি সরভাজা এবং সরপুরিয়া যা দুধের সর এবং ঘি দিয়ে তৈরি। এই মিষ্টির সমস্ত ইতিহাস জুড়ে রয়েছে কৃষ্ণনগরে রাজবাড়ির সঙ্গে।

শক্তিগড়ের ল্যাংচা

পূর্ব বর্ধমানের সত্যিকারে একটি বিখ্যাত মিষ্টি হল ল্যাংচা। এটি কালচে বাদামী রঙের এক প্রকার রসের মিষ্টি। বাঙালিদের কাছে রসগোল্লার পাশাপাশি এর জনপ্রিয়তা ও অনেকখানি।

জয়নগরের মোয়া

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগর শহরে বিখ্যাত মিষ্টি হল মোয়া। সহজলভ্য উপাদান যেমন- কনকচূড় ধানের খই, খেজুর গুড় ও গাওয়া ঘি-এর তৈরি এটি জনপ্রিয় শীতকালীন মিষ্টান্ন।

রামপুরহাটের রসমালাই

বীরভূম জেলার রামপুরহাট এর বিখ্যাত মিষ্টান্ন হলো রসমালাই। ছোট আকারের রসগোল্লা ঘন মিষ্টি দুধে ঢেলে রসমালাই বানানো হয়। অপূর্ব স্বাদযুক্ত এই মিষ্টি প্রায় সকলের প্রিয়।

চন্দননগরের জলভরা

তালশাঁস আকৃতি কড়াপাকের এই বিশেষ সন্দেশ হুগলি জেলার চন্দননগরে বিখ্যাত। এই মিষ্টির আবিষ্কর্তা সূর্যকুমার মোদক। এই সন্দেশ বানানোর মূল উপাদান ছানা,চিনি, গোলাপজল ও নলেন গুড়।

নবদ্বীপের লালদই

নদীয়ার নবদ্বীপের অন্যতম প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন হল লাল দই বা ক্ষীর দই। ভাজা লাল চিনি দিয়ে তৈরি হওয়ার কারণে এই দইর রং হয় লাল। ১৯৩০ সালে জনৈক কালিপদের তৈরি এই মিষ্টির বিখ্যাত পাচুর মিষ্টি দোকান অর্থাৎ লক্ষী নারায়ন মিষ্টান্ন ভান্ডার।

জানাই এর মনোহরা

পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জনাইয়ের মনোহরা এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার মনোহরা অত্যন্ত জনপ্রিয়। অনেক জায়গায় এঁকে চাউনি সন্দেশও বলে। কড়াপাকের মিষ্টি ছাড়া নরম মিষ্টি দু চার দিন রেখে খাওয়া যেত না। তাই একজন জমিদারের ইচ্ছা রাখতে অনেক ভেবে কারিগর নরম সন্দেশের ওপর চিনির রস ঢেলে দেয় ফলে নরম পাতের ছন্দে বেশ কয়েকদিন রেখে খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে এবং এই মিষ্টির নাম হয় মনোহরা।

কাঁথির কাজু বরফি

মেদিনীপুর জেলার কাঁথি বিখ্যাত মিষ্টি কাজু বরফি বাংলায় বেশ জনপ্রিয়। প্রায় ৯০ বছর আগে মিষ্টি ব্যবস্থায়ী কালীচাঁদ প্রধান (কালু ময়রা) প্রথম কাজুবাদাম কে এক বিশেষ করতে গুরু করে এই মিষ্টি তৈরি করেন।

Search