১৯২৪ সালে একটি সস্তা জাপানি ইস্পাতের সঙ্গে লড়াই করায় টাটা কোম্পানি পরে চরম সংকটের মুখে। তখন কোম্পানির প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। এই কঠিন অবস্থায় টাটার ঘরে থাকা জুবিলী হীরের জন্য বেঁচে যায় ব্যবসাটি।
টাটা কোম্পানি যখন চরম সংকটের মুখে। কর্মীদের কোনভাবে বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। সেই সময় এই বিপদ থেকে বাঁচার একটি উপায় ছিল কর্মচারীদের ছাটাই করা। তবুও টাটা কোম্পানি নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে এমন কাজ করেননি। টাটা দের ঘরে ছিল কুহো-ই-নূরের দ্বিগুণ আয়তনের বড় হিরে। এবং সেই হীরেটি ছিল নারীবাদীর অন্যতম আইকন লেডি মেহেরবাই টাটার। ১৮৫৭ সালে ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে প্রাপ্তি ৬০তম বার্ষিকী সম্মানে এই হীরার নামকরণ করা হয় জুবিলী।মেহেরবানী এই হীরেটি একটি প্লাটিনামের চেনের দ্বারা গলায় পরতেন
কোম্পানির এই অবস্থা দেখে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জাসেদজি টাটার বড় ছেলে দরবাজি টাটা ও স্ত্রী লেডি মেহেরবাই তাদের কাছে থাকা জুবিলী ডায়মন্ড ও বেশ কিছু গয়না বন্ধক দিয়ে এক কোটি টাকা ঋণ নিয়ে টাটা স্টিল কে বাঁচিয়েছিলেন। তাদের এই ত্যাগের জন্যই টাটা সংস্থাটি হয়ে উঠেছিল প্রভাবশালী ও অন্যতম। এছাড়াও এই সংস্থা শীঘ্রই মুনাফা অর্জন করতে শুরু করেছিল। বর্তমানে টাটা কোম্পানির একটি প্রভাবশালী ও বৃহত্তম সংস্থা।