আজ ১৫ ই নভেম্বর গুরু নানক জয়ন্তী। শিখ সম্প্রদায়ের বিশেষ উৎসব। এই গুরু নানকের কিছু বানী আমাদের জীবনে চলার পথকে সহজ করে তুলতে পারে।
শিখ ধর্মের প্রবর্তক হলেন গুরুনানক । তিনি ১৪৬৯ সালের ১৫ এপ্রিল পাঞ্জাবে নানকানা সাহিবের এক হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার অপর নাম ‘বাবা নানক ‘। তিনি ছিলেন দশজন শিখ গুরুর মধ্যে অন্যতম। তার বাণীগুলি আজও জীবনে নানান ভাবে অনুপ্রেরণা যোগায়। এই বাণীগুলির মধ্যে যেন শান্তির বার্তা বয়ে গেছে।
নানকের কিছু অনুপ্রেরণামূলক বাণী
১. নানক বলেছেন “ঈশ্বর আর মানুষ আলাদা নয়। মানুষকে ভালবাসলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়।”
২. নিজের কাজ নিজে করো, কারো সাহায্য ছাড়াই কাজ করার চেষ্টা করো।
৩. আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে বলেছেন “যার নিজের ওপর কোনো বিশ্বাস নেই, তিনি ভগবানকে কি করে বিশ্বাস করবেন।”
৪. কুসংস্কার মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে বলেছেন “কোন কুসংস্কারকে মনে প্রশ্রয় দিও না। কারণ কুসংস্কার মনের মধ্যে ভয় তৈরি করে। জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়”।
৫. মন উদার রাখার বার্তা দিয়ে বলেছেন “জঙ্গলের মধ্যে ঢুকলে আলোর সন্ধান পাবে না। তাই উদার হও।”
৬. অর্থলোপ থেকে সচেতন করতে বলেছেন “টাকা সবসময় পকেটে থাকা উচিত। এটি আপনার হৃদয়ের কাছাকাছি রাখা উচিত নয়।”
৭. ব্যক্তির তার আয়ের দশ ভাগ দাতব্য কাজে এবং দশভাগ সময় ঈশ্বরের ভক্তির জন্য ব্যয় করা উচিত।
৮. এমন কথা সব সময় বলা উচিত, যেখানে অন্যরা সেটা শুনে আপনাকে শ্রদ্ধা সম্মান করতে পারে।
৯. যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করা যায় না, সারাজীবন ধরে চেষ্টা করলেও কেউ তা পারে না।
১০. আমাদের সবার জীবনে পাঁচ শত্রুকে চিহ্নিত করে নানক বলেছেন। এই পাঁচ শত্রু হলো অভিমান রাগ লোভ সংযুক্তি ও আকাঙ্ক্ষা।