শিল্পী দেবতা বিশ্বকর্মা আদি কর্মকাণ্ডকে স্মরণ করে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রযুক্তি কর্মস্থলে আরম্ভের সাথে পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। রামায়নে একাধিক স্থলে বিশ্বকর্মা উল্লেখ পাওয়া যায়।
হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব হলো বিশ্বকর্মা পূজা। প্রতিবছর ১৭ ই সেপ্টেম্বর এবং ভাদ্র মাসের শেষ অর্থাৎ ভাদ্র সংক্রান্তিতে এই পূজা হয়। চতুর্ভুজ ও গজারূঢ় আকৃতি সম্পন্ন এই দেবতা অর্থাৎবিশ্বকর্মা হলেন ইঞ্জিনিয়ার প্রযুক্তির দেবতা। তাই তিনি দেবশিল্পী নামে পরিচিত।বিশ্বকর্মার হাতে দাঁড়িপাল্লা থাকে। দাঁড়িপাল্লার দুটি পাল্লা জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। উভয়ের সমতা বজায় রেখেছেন তিনি। এছাড়া তিনি হাতুরী ধারণ করেন, যা শিল্পের সাথে জড়িত। তিনি যে শিল্পের দেবতা এই হাতুরী তারই প্রতীক।
হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব হলো বিশ্বকর্মা পূজা। প্রতিবছর ১৭ ই সেপ্টেম্বর এবং ভাদ্র মাসের শেষ অর্থাৎ ভাদ্র সংক্রান্তিতে এই পূজা হয়। চতুর্ভুজ ও গজারূঢ় আকৃতি সম্পন্ন এই দেবতা অর্থাৎবিশ্বকর্মা হলেন ইঞ্জিনিয়ার প্রযুক্তির দেবতা। তাই তিনি দেবশিল্পী নামে পরিচিত।বিশ্বকর্মার হাতে দাঁড়িপাল্লা থাকে। দাঁড়িপাল্লার দুটি পাল্লা জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। উভয়ের সমতা বজায় রেখেছেন তিনি। এছাড়া তিনি হাতুরী ধারণ করেন, যা শিল্পের সাথে জড়িত। তিনি যে শিল্পের দেবতা এই হাতুরী তারই প্রতীক।
প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পূজা একদিনে পড়ার কারণ কি?
হিন্দু ধর্মের সমস্ত দেব-দেবী পুজোর তিথি চন্দ্রের গতিপ্রকৃতির উপর ভিত্তি করে স্থির হয়। তবে একমাত্র বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি সূর্যের গতিপ্রকৃতির উপর ভিত্তি করে স্থির করা হয়। সিংহ রাশি যখন কন্যা রাশিতে গমন করে সে সময় মনে করা হয় দেবতারা নিদ্রা ভঙ্গ করে জেগে ওঠেন এবং বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। তাই এই পুজো কন্যা সংক্রান্তিতে পড়ে অর্থাৎ বাংলা ক্যালেন্ডারের ভাদ্র মাসের শেষ দিন। আর এই দিনটি প্রতিবছর ইংরেজি তারিখে ১৭ সেপ্টেম্বর করে।
এই দিন সমস্ত কারখানা অফিস এবং প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দোকানে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। ঐদিন কর্মরত শ্রমিকরা কোন কাজ করে না। দেবতার আরাধনার পাশাপাশি সমস্ত মেশিন যন্ত্রাংশ পুজো করা হয়।
এমনকি বিশেষ আরম্ভপূর্ণ ভাবে বা মূর্তি এনে পুজো না হলেও প্রতিটি ঘরে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন সাইকেল, মোটরসাইকেল, মোবাইল, কম্পিউটার প্রভৃতি যন্ত্র থাকার কারণে এই দিনে অল্প বিস্তার হলেও পুজোর আয়োজন ও খাবার দাবারের ব্যবস্থাকরা হয়।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দেবতা আরাধনা, খাওয়া-দাওয়া, ছাড়াও গ্রাম, শহরাঞ্চলে এক বিশেষ আকর্ষণীয় জিনিস হল সমবেতভাবে ঘুড়ি ওড়ানো।