ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীন জনপ্রিয় খেলা কবাডি। এশিয়া মহাদেশেও এই খেলা বিশেষভাবে প্রচলিত। তবে এর উৎপত্তিস্থল পাঞ্জাব। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে কবাডিকে জাতীয় খেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়।
কবাডির আরেকটি নাম হল হা-ডু-ডু। এই খেলা গ্রামবাংলায় বিশেষভাবে প্রচলিত। কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকলের কাছে কবাডি বেশ জনপ্রিয় খেলা। বিভিন্ন উৎসব পালা পার্বণে এই খেলা বেশ আরম্ভপূর্ণ ভাবে আয়োজন করা হয়ে থাকে।।
খেলার নিয়ম
কবাডি খেলার সময় মাঠের মাঝখানে একটি চওড়া লাইন থাকে যার দ্বারা খেলোয়াড়রা দুটি দলে বিভক্ত হয়। প্রতি দলে ১২ জন করে খেলোয়াড় থাকে। তবে এক একটি দলে একসঙ্গে ১২জন খেলোয়াড় মাঠে নামতে পারে। এবং পাঁচ জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে থাকে।
খেলা শুরু হলে একটি দলের কোন খেলোয়াড় এক নিঃশ্বাসে “কবাডি কবাডি” বলে মধ্য রেখা থেকে বিপক্ষ দলের কারকে স্পর্শ করে নিজের দলে ঘুরে এলে যাকে স্পর্শ করেছে সে আউট হবে। কিংবা বিপক্ষ দলে আক্রমণ করতে গিয়ে নিশ্বাস হারালে যদি ওই দলে কেউ আক্রমণকারীকে স্পর্শ করে তাহলে আক্রমণকারী আউট হবে। এবং খেলার সময় মাঠের বাইরে কোন খেলোয়াড় চলে গেলে সে আউট হবে। যদি কোন দলের সবাই আউট হয় তাহলে বিপক্ষ দল একটি লোনা অর্থাৎ অতিরিক্ত ২ পয়েন্ট পাবে।
উপকারিতা
গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় এই কবাডি খেলার বিশেষ উপকারিতা আছে। কবাডি খেললে শারীরিক, মানসিক ক্ষিপ্রতা দূর হয়। চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটে। এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এই খেলা বিশেষভাবে সহায়ক।