১৭৭২ সালে 22শে মে রাজা রামমোহন রায় প্রেসিডেন্ট হুগলি জেলার রাধানগরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা রামকান্ত ও মাতা তারিনী দেবী। আজ রামমোহনের ২৫২ তম জন্মবার্ষিকী।
রামমোহন রায় ছিলেন ভারতীয় ধর্মীয় নেতা,সমাজ সংস্কারক ও ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্ম সভা প্রতিষ্ঠা করেন যা ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত ।বিশেষত তিনি বাল্যবিবাহ, সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার জন্য বেশি খ্যাতি অর্জন করেছেন। শিক্ষা, রাজনীতি, ধর্ম প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সাহসিকতা, স্পষ্টবাদীতার জন্য দিল্লির মুঘল সম্রাট রামমোহনকে ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে রাজা উপাধি দিয়েছিলেন। সেই থেকে তার নামের আগে রাজা শব্দটি ব্যবহার করা হয় (রাজা রামমোহন রায়)।
রামমোহন ছোটবেলা থেকে সমাজ ব্যবস্থার বিরোধী ছিলেন। তিনি সেই সময় দেখতেন ১৩ – ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের বয়স্কদের সাথে বিবাহ দেওয়া হতো। স্বাভাবিক নিয়মে স্বামী আগে মারা গেলে এই অল্প বয়সে মেয়েদের মহাসতী!… বলে চিতায় পুড়িয়ে মারা হতো। সমাজে মেয়েদের প্রতি এই অত্যাচার রামমোহনকে আঘাত করে। পরবর্তীতে তিনি সতীদাহ প্রথা ও বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করেছেন। এমনকি তিনি চেয়েছিলেন সমাজের মেয়েরা যাতে শিক্ষিত হয়। তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষে ছিলেন এবং ১৮২৫ সালে বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। মেয়েদের জন্য তার এই লড়াই আর সকল মেয়েকে স্বাধীনতা পাইয়ে দিয়েছে। এবং সমাজের জন্য রামমোহনের অবদান আজ তাকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।।