প্রখ্যাত বাঙালি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিনকে স্মরণ করে আমরা রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করি। তিনি বাংলা ক্যালেন্ডার এ বৈশাখের ২৫ তারিখ জন্মগ্রহণ করায় এই দিনটিকে রবীন্দ্র জয়ন্তীর পাশাপাশি ২৫ শে বৈশাখ বলে উল্লেখ করা হয়।
২০২৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৮৬১ সালে ৭ ই মে, বাংলা ক্যালেন্ডারে ১৪২২ সালের ২৫ শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি কবি, পন্ডিত, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সাহিত্যবাদী, দার্শনিক, মানবতাবাদী। শিল্প ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে তার অবদান অতুলনীয়। তিনি তার কবিতা সংকলন “গীতাঞ্জলি” এর জন্য নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম উল্লেখযোগ্য মাইল ফলক অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন প্রভাবশালী শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ তিনি প্রায় ৩০০০ টি চিত্রকর্ম এঁকেছেন, এবং ২২৩০ টি গান রচনা করেছেন, এমনকি ভারতের জাতীয় সংগীত “জন গণ মন” এবং বাংলাদেশ কোষ শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত লিখেছেন
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান ছড়িয়ে রয়েছে গোটা মানব সমাজে। সকল বাঙালির মনে তিনি এক বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছেন। তাই তার জন্মদিন কে স্মরণ করে উদযাপিত রবীন্দ্রজয়ন্তী বাংলাকে নতুনভাবে জাগিয়ে তোলে। এই দিন বিভিন্ন অঞ্চলে ২৫ শে বৈশাখ জাঁকজমক ভাবে পালন হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপিত হয়। সাংস্কৃতিক মঞ্চে ছাত্র-ছাত্রীরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু করে।রবীন্দ্র সংগীত, রবীন্দ্র নৃত্য, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের লেখা কবিতা, নৃত্যনাট্য করে, অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করে।।